সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তারিফ ও সাধারণ সম্পাদক নাইম সরকারের ওপর হামলা, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র ও অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বেলকুচি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তারিফের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ আগস্ট বিকেলে গাড়ামাসী উত্তরপাড়া পাকা রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে আসছিলাম। স্থানীয় সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে আসা মাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জদুল হক রেজার হুকুমে আসামিরা আমার ও সঙ্গে থাকা ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম সরকারের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেয়ে জখম করে। তারা নগদ ৪০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।

এ ঘটনার জেরে ১৮ আগস্ট বিকেলে মেয়র সাজ্জদুল হক রেজার নেতৃত্বে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন পুনরায় আবারও হামলার উদ্দেশ্যে গাড়ামাসী গ্রামে আসে এবং গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় তারা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। পরে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে একটি মোটরসাইকেল রেখে চলে যায়। পরে পুলিশ মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ ঘটনার পর থেকে মেয়র সাজ্জদুল হক রেজা ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, মেয়র সাজ্জদুল হক রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আবার মেয়রের সমর্থকরা ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। এটা তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীন বিষয়। অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জদুল হক রেজার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

প্রসঙ্গত, পৌরমেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্ত্রী আশানুর বিশ্বাসকে নৌকা প্রতীকে পরাজিত করে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।

শুভ কুমার ঘোষ/এমএএস