৫ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ
ঘুষ নিয়ে সরকারি ঘর, বিধবা, বয়স্ক, ভিডব্লিউবি, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড ও সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের ৫ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত ৫ ইউপি সদস্যেদের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত এবং প্রতিকার চেয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা হলেন, আব্দুল কুদ্দুস, শাফিয়া বেগম, আমিনুল রহমান বাবু, মর্জিনা খাতুন ও কাবিল উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ৫ ইউপি সদস্য নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রতারণা করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার ৫০০, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ৪ হাজার ৫০০, ভিডব্লিউবি ভাতার কার্ডের জন্য ৩ হাজার এবং মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। এছাড়া ইউপি সদস্য আমিনুল রহমান বাবু সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩নং ওর্য়াডের দক্ষিণবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মামুনের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিলেও অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা এ সব উপকারভোগীদের অনুকূলে কোনো ভাতার কার্ড কিংবা সরকারি ঘর বরাদ্দ দিতে পারেনি। ঘুষ দেওয়া টাকা এখন ফেরত চান তারা। সেই সঙ্গে ইউপি সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বেরুলী বাজারের সাবেক সভাপতি কবির হোসেন ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হারেজ মোল্লা। এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্যরা বলছে, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে ২০ আগস্ট উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুট, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ৯ জন ইউপি সদস্য এক সাথে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। আর বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দোষ ঢাকার জন্য এই নাটক সাজিয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান/আরকে