প্রতীকী করোনাভাইরাস নিয়ে পুলিশের র‌্যালি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতায় মোটরসাইকেল র‌্যালি করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)। সোমবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জিলা স্কুল মোড় থেকে শুরু করে র‌্যালিটি পুরো নগরী প্রদক্ষিণ করে। এ সময় প্রতীকী করোনাভাইরাস বহনকারী একটি গাড়ি সেখানে যুক্ত করা হয়। গাড়িটি পুরো নগরী প্রদক্ষিণ করে। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, প্রায় দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে সচেতনতামূলক র‌্যালিটি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। র‌্যালিতে অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিমসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা জনগণকে মেনে চলার জন্য আমরা উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশ সদস্যরা জনে জনে, ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন। করোনা থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া, ভালোভাবে মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। সারাবিশ্বে যারা করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে সক্ষম হয়েছে তারা কিন্তু স্বাস্থবিধি মেনে চলেছে। 

মোটরসাইকেল র‌্যালি করেছে পুলিশ

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি তাহলে করোনা প্রতিরোধ করতে পারবো। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দৈনন্দিন কাজ সেরে ফেলতে হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। এছাড়া সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চললে বরিশালে হঠাৎ করে করোনার যে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে তা রোধ করা সম্ভব।

র‌্যালির শুরুতে বক্তব্য দেন বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নির্দেশনা অমান্য করলে আইন প্রয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে দেশে আইন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আমরা চাই আইন প্রয়োগের আগেই বরিশালবাসী নিয়ম মেনে চলাচল করে করোনা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

পরে মোটরসাইকেল র‌্যালিটি নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক, জেলখানার মোড়, হাসপাতাল রোড, বিএম কলেজ রোড, নথুল্লাবাদ, সিঅ্যান্ডবি রোড, আমতলার মোড়, রূপাতলী ঘুরে আবার জেলা স্কুল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সচেতনতামূলক ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও মাইকিং করা হয়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর