স্বামীকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ রাখল স্ত্রী
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাঁশি এলাকায় নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে চান মিয়ার (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেজিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক হালিম মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হালিম একই এলাকার সবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
নিহত চান মিয়া বাঁশি এলাকার মনতা মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার (৩ এপ্রিল) থেকে চান মিয়া নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের ঘটনায় কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, চান মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগমের সঙ্গে একই এলাকার রডমিস্ত্রি রিপনের পরকীয়া প্রেম ছিল। শনিবার থেকে চান মিয়া নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয় কাউন্সিলর মুক্তার আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় চান মিয়ার স্ত্রী রেজিয়াকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি জানায়, তার স্বামীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য সহযোগী আরও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা বালিশ ও লেপ তাদের ঘরের সিলিং থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্ত্রী ও তার প্রেমিকসহ কয়েকজন মিলে চান মিয়াকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে রাখে। পরে স্ত্রীর দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত জিনিসগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিজিৎ ঘোষ/এসপি