কুয়াকাটায় ইউএনও অবরুদ্ধ
স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছেন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল হক সরকার ঘোষিত কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের ঘরে ফেরার নির্দেশ দেন। এ সময় কুয়াকাটা চৌরাস্তায় একটি পত্রিকার (তালাশ) স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল থামিয়ে ইলিয়াস নামে এক ফটোগ্রাফারের পরিচয় জানতে চান ইউএনও।
বিজ্ঞাপন
পরিচয় দেওয়ার পর তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলায় ইউএনওর সঙ্গে তর্কে জড়ান ইলিয়াস। এসময় ইলিয়াসকে মারধর করেন ইউএনও শহীদুল হক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুয়াকাটা সৈকতের প্রায় ২শ ফটোগ্রাফার ও স্থানীয় জনতা চৌরাস্তায় এসে বিক্ষোভ করেন। তারা ইউএনওকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং পুলিশকে ধাওয়া দেন।
ইউএনওর মারধরে আহত ইলিয়াসকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইলিয়াস শেখ কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলে ইউএনও আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে পরিচয় জানতে চেয়ে মারধর শুরু করেন।
যদিও ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, ‘মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনসচেতনতার অংশ হিসেবে রাস্তায় ইলিয়াস শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি আমাকে লাঞ্ছিত করে গাড়িসহ অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘরে ফেরার অনুরোধ জানালে তারা ফিরে যান। বর্তমানে সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
কাজী সাঈদ/এসপি/জেএস