জনতার হাতে আটক এক বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে বিজিবি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই প্রতারক বিজিবি সদস্যকে ব্যবসায়ীদের সহায়তায় আটক করে এক দোকানদার। 

পরে সদর মডেল থানায় খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। আটক ব্যক্তি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার মাগুরা গ্রামের দিদারুল্লাহর ছেলে মোহম্মাদ হোসেন (৩১)। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য বলে জানায় সদর থানা পুলিশের ওসি মোজাফফর হোসেন।

জেলা শহরের শিবতলা মোড়ের ডিজিটাল অটোরিকশা হাউসের মালিক মো. ইসারুল হক জানান, সকালে মোহাম্মদ হোসেন তার দোকানে দুটি নতুন ব্যাটারি বিক্রি করতে আসে। এর আগে সোমবার তিনি দোকানে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যাটারি কিনতে এলে তাকে বাকিতে ব্যাটারি দেয়নি ইসারুল। মঙ্গলবার ব্যাটারি বিক্রি করতে এলে তার সন্দেহ হয়। এর আগেও তিনি বিভিন্ন দোকান থেকে এভাবে প্রতারণা করে পণ্য নিয়ে এসেছে এরকম অভিযোগ শুনেছে ইসারুল। সেই সূত্র ধরে তাকে আটকে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও বিজিবি তাকে নিয়ে যায়।

সদর মডেল থানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতারণার শিকার কয়েকজন ব্যবসায়ী থানায় হাজির। সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের সাইকেল দোকানদার আশরাফ জানান, খবর পেয়ে তিনি থানায় এসেছেন। এ প্রতারক ২৭ মার্চ পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে তিনটি সাইকেল বাকিতে নেয়। যার মূল্য ২২ হাজার টাকা। পরে তার মোবাইল বন্ধ পেলে থানায় একটি জিডি করেন। 

এরকম প্রায় ৭-৮ জন ব্যবসায়ীকে থানায় দেখা যায়। যাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ওই বিজিবি সদস্য প্রতারণা করে বাকিতে মালামাল নিয়ে এসে আর যোগাযোগ করেনি। এমনকি তার দেয়া মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ ছিল।

সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে জনতার হাত থেকে ওই বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগকারীদের সঙ্গে ৫৩ বিজিবি দফারফা করে তাকে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ৫৩ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সুরুজ মিয়া বলেন, মোহাম্মদ হোসেন ৫৩ বিজিবির সদস্য। তিনি যে কাজ করেছেন তা অপরাধ। তার বিরুদ্ধে বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। তার দ্বারা যারা প্রতারিত হয়েছেন, তাদের প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ করারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

জাহাঙ্গীর আলম/এমএএস