শাল্লায় হামলার ঘটনায় এক ওসি বরখাস্ত, একজন বদলি
শাল্লার নোয়াগাঁয়ে মামুনুল হক-সমর্থকদের হামলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওসি নাজমুল হককে বরখাস্ত করে বরিশাল পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাল্লা থানা ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত ও দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।
সিলেট পুলিশ রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদরর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হিন্দু-অধ্যুষিত গ্রামে হামলার ঘটনায় শাল্লা থানার ওসি ও দিরাই থানার ওসির দায়িত্বে অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ জন্য শাল্লার ওসি নাজমুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে যুক্ত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর দিরাইয়ের ওসি আশরাফুলকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে সমাবেশ করে। সেখানে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এ নিয়ে পরদিন নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে মামুনুল হক সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মর্মে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।
সেদিন রাতেই হেফাজত সেই গ্রামে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়। পরে গ্রামবাসী বিপদ আঁচ করতে পেরে ঝুমন দাস আপনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেয়। ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় গ্রামের ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় চারটি মামলা হয়।
১৮ মার্চ রাতে হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম একটি মামলা করেন। মামলায় দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে প্রধান আসামি করা হয়। স্বাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
১৯ মার্চ দিবাগত রাতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ