যশোরের অভয়নগরে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিথী আক্তার (২৪) নামে এক তরুণীকে কুপিয়ে জখম করেছেন তার সাবেক স্বামী। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওয়াপাড়া বাজারে একটি সুপার শপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক স্বামী হবিরুল ইসলাম অভিকে (৩৫) ধরে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ঘটনার পরপরই অভয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

আহত বিথী আক্তার উপজেলার কোটা গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে। অভিযুক্ত হবিরুল ইসলাম অভি ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ভান্ডাবো গ্রামের মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিবাহ বিচ্ছেদের পর বিথী আক্তার নওয়াপাড়া বাজারের একটি সুপার শপে চাকরি নেন। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই সুপার শপে ডিউটিরত অবস্থায় সাবেক স্বামী হবিরুল ইসলাম অভি ভেতরে ঢুকে বিথীর বুকে-পেটে ও বাম হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় নওয়াপাড়া নূরবাগে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অপরদিকে বিথীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

আহত বিথীর ভাই জাকির বলেন, অভির সঙ্গে বিথীর ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জন্য ৮ মাস আগে অভিকে ডিভোর্স দেয় বিথী। তারপর থেকে সে নওয়াপাড়া বাজারের একটি সুপার শপের কর্মচারী হিসেবে চাকরী নেয়। এরপর অভি কয়েকবার বিথীকে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিথী প্রত্যাখ্যান করে। এরই জেরে অভি পরিকল্পিতভাবে বিথীকে হত্যার উদ্দেশ্য পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।  অভি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০২০ সালে চাকরিচ্যুত হয়। সে একটি প্রাইভেট কার যোগে ময়মনসিংহ থেকে যশোরে এসেছিল।

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোবিন্দ পোদ্দার বলেন, বিথীর অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বিথীর শরীরে ছুরি দিয়ে মোট ছয়টি আঘাত করা হয়েছে।

অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন ওই যুবক। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর