হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা দেখতে জনতার ঢল
দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা। বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আয়োজন করা হয় পুকুরে হাঁস ধরা ও সাঁতার প্রতিযোগিতা। জনপ্রিয় এই খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ও পর্যটকরা ভিড় জমায়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুকুরে এই হাঁস ধরা ও সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুয়াকাটা বয়েস ক্লাবের উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুকুরে একটি হাঁস ছেড়ে দেন আয়োজকরা। হাঁসটি ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ২০ জনের একটি দল। পুকুরের চারপাশে জড়ো হয়ে থাকা অসংখ্য মানুষ করতালি দিতে থাকেন। হাঁস ধরতে শুরু হয় হইচই। প্রতিযোগীরা কখনও সাঁতার আবার কখনও ডুব দিয়ে একটি হাঁসের পেছনে ছুটতে থাকেন।
ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে হাসঁটি ধরে বিজয় অর্জন করেন হারুন হোসেন। বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে একটি মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া হয়। সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হৃদয় তাকেও পুরস্কার হিসেবে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
আয়োজনকারী কুয়াকাটা বয়েস ক্লাবের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যস্ততার মাঝে আনন্দ বিনোদনের জন্য আমাদের এই আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী খেলাটি দর্শকরা দারুণভাবে উপভোগ করেছে। এমন আয়োজন আমরা মাঝে মধ্যেই করবো। আয়োজনে অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোও যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আজকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে মূলত এই খেলার আয়োজন করেছি আমরা। যেখানে অংশগ্রহণ করেছে পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী সব খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এমন সব খেলা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় কুয়াকাটার এক ঝাক তরুণ সংগঠক কুয়াকাটা বয়েস ক্লাবের সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন করবে বলে আমি আশা করছি।
এসএম আলমাস/এএএ