নিহতের বাড়িতে মরদেহ দাফনের অপেক্ষায় স্বজনরা

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় টিফিন টাইমে চার মাসের শিশু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে যাওয়ার পথে অটোরিকশার ধাক্কায় রেবেকা সুলতানা রিক্তা (৩৬) নামে এক স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের মাদারেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রেবেকা সুলতানা রিক্তার বাড়ি উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আল-আমিনের স্ত্রী। তিনি উপজেলার চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেবেকা সুলতানা তার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পৌরসভার চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। দুপুর ১টার দিকে সময় টিফিন টাইমে তার চার মাসের শিশু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য অটোরিকশায় করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির কাছে অটোরিকশা পৌঁছালে স্কুলশিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা অটোরিকশা থেকে নামার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতরভাবে আহত হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবার সদস্যরা তাকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খালেকুজ্জামান বলেন, চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা। আজ টিফিনের সময় স্কুল থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় অটোরিকশায় ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। 

নিহত শিক্ষিকার ভাগনে মোজাফ্ফর বলেন, আমি ঢাকায় যাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই ফোন আসে যে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। তার তিন ছেলে-মেয়ে। ৪-৫ মাসের মেয়ে মেয়েকে দুধ খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে আসতে ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখনো দাফন হয়নি। রাতেই দাফন সম্পন্ন হবে। 

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় নিহত স্কুলশিক্ষিকার পরিবার থানায় অভিযোগ করবে না বলে জানিয়েছে।

রকিব হাসান নয়ন/আরএআর