গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনটি মামলার পর গ্রেফতার আতঙ্কে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমরভোগ গ্রাম এখন পুরুষশূন্য। এ ঘটনায় জড়িতরা গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

কোমরভোগ গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামে সুনশান নীরবতা বিরাজমান। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা তিন মামলায় গ্রামের অনেকেই আসামি। প্রতিদিন পুলিশ আসামিদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ ঘটনায় গ্রামের অনেক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। অনেকেই ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন। যে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করবে আতঙ্কে তারা। এজন্য গ্রাম পুরুষশূন্য।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মামলার পর নতুন কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

তিনি আরও বলেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নির্দোষ ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় নারী ও শিশু ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ও বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে কোমরভোগ গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেফতারর করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমরভোগ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জাবেদ মেম্বার ও সাবেক ইউপি সদস্য তুহিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।

রাজু আহমেদ/এএম/এইচকে