তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান-এরশাদ-খালেদা জিয়া অনেক সরকারই ছিল, কিন্তু দরিদ্র অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ ভাবেনি।

শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে নাটোরের সিংড়ায় সরকারি বিভিন্ন ভাতাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এক সময় প্রতিবন্ধী আছে এমন বাড়িতে কোনো অতিথি বেড়াতে গেলে প্রতিবন্ধী সন্তানকে মায়েরা অন্যত্র লুকিয়ে রাখতেন। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্য সুরক্ষা আইন তৈরি করেছেন। তাদের প্রতি মাসে মাসে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছেন। তাই আজকে আর কোনো প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে বাবা-মাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ সারা বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ভাই-বোনদের, অটিস্টিক সন্তানদের সেবার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সবাইকে হত্যা করার পরও খুনিরা ক্ষান্ত হয়নি। তাকে হত্যা করতেও ২১ বার চেষ্টা করেছে খুনিরা। তারপরও তিনি নিজের নিরাপত্তা, নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, পরিবারিক পিছুটান কোনো কিছুরই পরোয়া করেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য নিজেকে নিবেদিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও এই ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাজগুলো শুরু করেন। কিন্তু তার এই ভালো কাজগুলো আর অব্যাহত থাকেনি যখন ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে।

অ‌নুষ্ঠানে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।

গোলাম রাব্বানী/আরএআর