রংপুরের বদরগঞ্জে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুমনা আক্তার লিলির ওপর ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে বদরগঞ্জ উপজেলার গোপেশ্বর শাহা বারোয়ারি পূজামণ্ডপে হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সুমনা আক্তার লিলি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বদরগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় বারোয়ারি পূজামণ্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রংপুর-২ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সুমনা আক্তার লিলি। সেখানে আগে থেকেই পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে ব্যস্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং ওসি। সেখান থেকে সুমনা আক্তার লিলি ভোপেশ্বর শাহা বারোয়ারি পূজামণ্ডপে যান। একই সময়ে ওই মণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী। এ সময় তার সঙ্গে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল ও রেজাউল পান্নার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সুমনা আক্তার লিলিকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া প্রার্থী বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে লিলি ও তার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতারা লিলির ওপর হামলা করেন। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ওই ঘটনার কয়েক মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন সুমনা আক্তার লিলি।

ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করে আসছি। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। কিন্তু বদরগঞ্জ উপজেলার ভোপেশ্বর শাহা বারোয়ারি পূজামণ্ডপে গেলে স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মীমের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা করা হয়। আমাকে হেয় করতে সেখানে আপত্তিকর স্লোগান দেয় হামলাকারীরা। আমি এর বিচার চাই। আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ার পর থেকেই একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় ওই পূজামণ্ডপে ডিসি ও এসপি উপস্থিত ছিলেন। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ডিসিকে অবগত করেছি। পরে থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে বিভিন্নভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম বলেন, কে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিয়েছে আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে যে হেনস্তার অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ওই সময় পূজামণ্ডপের বাইরে ছিলাম। অহেতুক আমাকে ঘিরে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ