স্বজনদের দেখতে ভাসানচর থেকে উখিয়ায় ৬৭২ রোহিঙ্গা
আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা ও ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচর থেকে উখিয়া গেল ৬৭২ জন রোহিঙ্গা।
রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ১৩টি বাস ও একটি কাভার্ডভ্যানে করে রোহিঙ্গারা উখিয়া ক্যাম্পে পৌঁছায়। এর আগে একই দিন ভোরে ‘গো অ্যান্ড সি’ ভ্রমণের আওতায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গারা দুটি নেভি এলসিইউ জাহাজে করে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের উদ্দেশে রওনা হয়। তারা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে পৌঁছায়।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসানচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপসচিব) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে এই গো অ্যান্ড সি ভিজিট। যা প্রায় দুই বছর ধরে চলমান আছে। এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে ও জানাতে পারে। আজ ভোরে দুটি নেভি এলসিইউ জাহাজে করে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের উদ্দেশে রওনা হয়। তারা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে পৌঁছায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় ১৩টি বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যানে করে রোহিঙ্গারা উখিয়া ক্যাম্পে পৌঁছায়।
বিজ্ঞাপন
মো. মাহফুজার রহমান আরও বলেন, উখিয়া ক্যাম্পে পৌঁছে তারা আত্মীয়-স্বজনদের দেখে খুবই খুশি হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তারা আবার ভাসানচরে আসবে। যদিও তারা ৩/৪ দিন পরই আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। কেননা উখিয়ার তুলনায় ভাসানচর অনেক উন্নত এবং পরিপাটি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয় শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভাসানচরে ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
হাসিব আল আমিন/এমজেইউ