রূপসি বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের চর্চার জন্য জীবনানন্দের নামে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীরা।

সোমবার (২২ অক্টোবর) দিনব্যাপী ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে এ দাবি তোলেন আয়োজক সংগঠনগুলো। জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশাল, প্রগতি লেখক সংঘ, সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ, নির্বাচিত, ছাত্র ইউনিয়ন পৃথক পৃথক আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কবি-লেখক ও সংস্কৃতি কর্মীদের আন্দোলনের ফলে জীবনানন্দ মিলনায়তন ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু সেটি খোলা থাকে না। খুললেও ব্যবহার উপযোগী নয়।

জীবনানন্দ দাশ দেশভাগের আগে বরিশাল ছেড়ে কলকাতা চলে যান। তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করে গেছেন এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সরকার ও ব্যক্তি মালিকানার হাতে রয়েছে। সেই সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে জীবনানন্দ একাডেমি বা আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হোক। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম জীবনানন্দকে জানতে পারবেন।

বক্তারা বলেন, বরিশালকে এখন যাদের নামে সুপরিচিত তাদের মধ্যে জীবনানন্দ দাশ অন্যতম। প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন তার বাড়িটি দেখতে। কিন্তু সেখানে এসে কোনো স্মৃতিই দেখতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান। সরকারের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে জীবনানন্দকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

সকালে কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। সভাপতি তপঙ্কর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে একাত্মতা জানান প্রগতি লেখক সংঘ। সভাপতি অপূর্ব গৌতমে সভাপতিত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় সরকারি ব্রজমোহন কলেজের জীবনানন্দ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ ও ছাত্র ইউনিয়ন। সন্ধ্যা ৬টায় ঐতিহ্য প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত আয়োজিত জীবনানন্দের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও সংগীত স্মরণ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এএসএম হাবিবুল ইসলাম, অধ্যাপক দেবাশীষ হালদার। জাহিদ আব্দুল্লাহ রাহাতের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক দীপঙ্কর চক্রবর্তী, সাইফুল আহসান বুলবুল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপ, ব্রজমোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রণজিৎ মল্লিক প্রমুখ।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএসএইচ