পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীদের ভিড়

পিরোজপুরে হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন জেলা হাসপাতালে ৬০-৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ৮ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু। জায়গার অভাবে হাসপাতালের মেঝে এবং বারান্দায় রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্ররুয়ারি থেকে হঠাৎ করে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হলেও মার্চ মাসে এই রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় রোগীদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল মেঝে ও বারান্দায়। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক এবং কর্মচারীরা।

শিশু রুফাইদার মা নাসিমা বেগম বলেন, বাবুর হঠাৎ করেই ২ দিন ধরে ডায়রিয়া। তাই ডাক্তার দেখাতে আসছি। বেড পাচ্ছি না। রোগীর চাপ অনেক।

শিশু ফাহিমের মা রুকাইয়া বেগম জানান, বাচ্চার জ্বর। তাই নিয়ে আসছি। টেস্ট দিছে সেটা করে আবার দেখাব।

শিশু নাদিরার মা রানু বেগম বলেন, বাচ্চা ৬ দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল। এখন মোটামুটি সুস্থ আছে। রিলিজ নিয়ে বাসায় যাব।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের সেবিকা নাসরিন আক্তার জানান, আগের সপ্তাহ থেকে এই সপ্তাহে রােগীর চাপ বেশি। মাত্র চারজন সেবিকা দিয়ে কাজ চলছে। এ অবস্থায় আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. নিজাম উদ্দীন জানান, ২৪ ঘণ্টায় ৫০-৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসা নিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আবীর হাসান/এসপি