প্রীতম রুদ্র

খুলনা নগরীর দৌলতপুর বীণাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। রোববার (১১ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসাল আল মামন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ মামলার একমাত্র আসামি প্রীতম রুদ্রকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। প্রীতম দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া বীণাপানি ভবনের প্রভাত কুমার রুদ্রর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দৌলতপুরে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ওই ছাত্রী ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। দুপুর ২টার দিকে বাড়ি ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর দৌলতপুর থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২৬ জানুয়ারি মামলা করা হয়।

২৮ জানুয়ারি দুপুরে দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া কালীমন্দিরের পাশে বীণাপানি ভবনের নিচতলার বাথরুম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, হত্যার পরদিন শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীর লাশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীণাপানি ভবনের মালিক প্রভাত রুদ্র, পারলারের মালিক মুক্তিসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে বাড়ির মালিক প্রীতমের আচরণ সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য।

জিজ্ঞাসাবাদে প্রীতম জানান, কম্বল দেওয়ার কথা বলে তিনি শিশুটিকে প্রথমে ছাদে ডেকে নেন। এরপর ধর্ষণের আগে ভারী বস্তু দিয়ে শিশুর মাথায় আঘাত করেন তিনি। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রশি ও জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করি।

৩০ জানুয়ারি রাতে পুলিশ আসামি প্রীতমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর