ফাইল ছবি

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কলেজছাত্র আজিজুল ইসলামের (১৮) মৃত্যুতে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন আহত বাবা-মা। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। 

এর আগে, সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মাওয়ায় ফেরিতে মারা যান আজিজুল ইসলাম। এ ঘটনায় নিহত আজিজুলের ভাই রুবেল হোসেন বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন।

নিহত আজিজুল ইসলাম মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামের সাখাওয়াত মুন্সির ছেলে এবং মোল্লাহাট কারিগরি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সরসপুর গ্রামের বিরোধপূর্ণ জমির সুপারি পাড়তে যায় সাখাওয়াত মুন্সির প্রতিপক্ষ পিকিং ও এবাদাত বিশ্বাসসহ কয়েকজন। এ সময় সাখাওয়াত মুন্সি ও তার ছেলেরা পিকিংদের বাধা দেয়। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সাখাওয়াতের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। এ সময় সাখাওয়াত মুন্সি (৫৮), তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫৪) এবং তাদের ছেলে আজিজুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আজিজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আজিজুল মারা যায়।

এদিকে ছেলেকে হারিয়ে হাসপাতালে শুয়ে ছটফট করছেন আজিজুলের মা-বাবা।ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেছেন তারা।

নিহত আজিজুলের বড় ভাই রুবেল হোসেন মুন্সি বলেন, ভাইকে হারালাম। বাবা-মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জানিনা তাদের কি হবে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বিভিন্ন মামলা ও সালিশ বৈঠকে আমাদের পক্ষে রায় এসেছে। তারপরও তারা জোর করে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। আমার ভাইকে হত্যা করল। আমি এর বিচার চাই।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, আজিজুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রুবেল হোসেন মুন্সি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসপি