ফরিদপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। তার হাতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় খাবারের মধ্যে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়। তা খেয়ে বাড়ির মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার সুবাদে চুরির ঘটনা ঘটে আসছিল। সোমবার ওই এলাকার দিলীপ বিশ্বাস ও তার ভাই আনন্দ বিশ্বাসের বাড়িতে হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির একজন বাদে কেউ ওই আহার গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে দিলীপ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত দেড়টার দিকে বাড়ির লোকজন দরজায় টোকা দেওয়ার শব্দ শুনে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। ওই সময় পলায়নরত দুই-তিন ব্যক্তির মধ্যে একজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসী।

খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই ব্যক্তির আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে, তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি তদন্তে পুলিশের আপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দলও কাজ করছে।

বি কে সিকদার সজল/এনএ