বগুড়ার শেরপুরে আব্দুল মতিন (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের পূর্বপাড়ার একটি সরিষাখেত থেকে মরদেহটি  উদ্ধার করা হয়।

আব্দুল মতিন মান্দাইল গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে এবং বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। এছাড়া তিনি স্থানীয়ভাবে গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার ৬৪ নম্বর আসামি আব্দুল মতিন। এ কারণে তিনি বাড়িতে নিয়মিত থাকতেন না। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে চা খেয়েছিলেন। এরপর তার শেরপুর যাওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে আজ সকালে ওই গ্রামের আব্দুল মোমিনের ধান কাটার শ্রমিকরা মাঠে যাওয়ার পথে সরিষার জমিতে মতিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অনেক আগেই মারা গেছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।

নিহতের ছেলের বউ শাহানাজ খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার শাশুড়ি অসুস্থতার কারণে প্রায় চার মাস ধরে শেরপুর শহরে মেয়ের বাসায় থাকেন। আমার শ্বশুর গত ৭-৮ দিন হলো রাতে নিয়মিত বাড়িতে থাকেন না। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শেরপুর থেকে বাড়িতে এসে শীতের জামাকাপড় নিয়ে আবার চলে যান। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টার দিকে জানতে পারি সরিষাখেতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় চার-পাঁচটি ভারী আঘাতের দাগ আছে। সেখানে থেকে রক্তপাতও হয়েছে। হত্যার ঘটনায় এখনো কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে আমরা কারণ শনাক্তে কাজ শুরু করেছি। দ্রুত হত্যার রহস্য জানা যাবে।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমজেইউ