অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর প্রসবব্যথা উঠলে প্রথমে নিজ গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতলে নেওয়ার পথে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই নারী। কিন্তু চলন্ত ভ্যান থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পাওয়ায় মারা যায় নবজাতক।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার যাদুরহাট-নীলফামারী সড়কের পাঁচমাথা মোড়ে। মৃত নবজাতকের মা রুবিনা বেগম নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের যাদুরহাট মহুবার রহমানের স্ত্রী।

জানা যায়, রুবিনা বেগমের প্রসবব্যথা উঠেলে গ্রামের কমিনিউটি ক্লিনিকে নিয়ে যান স্বামী মহুবার রহমান। সেখানে নরমাল ডেলিভারি না হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেলা সদর হাসপাতালে নিতে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে রুবিনা বেগমকে নেওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। তবে পথেই ছেলেসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু নবজাতক ভ্যান থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে। এতে মাথায় আঘাত পায়। তাকে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নবজাতকের মৃত্যুর পর রুবিনা বেগমকে নীলফামারী সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

মহুবার রহমান বলেন, কিছুদিন আগে পরীক্ষা করে ছেলে হওয়ার খবর শুনছিলাম। তবে আমার এ খুশি কপালে টিকল না। ছেলেটারে বাঁচাতে পারলাম না।

নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) অমল রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলন্ত ভ্যান থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ায় নবজাতকের মাথায় আঘাত লাগে। এতেই তার মৃত্যু হয়।

মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এএম/ওএফ