প্রেমে বাধা দেওয়ায় সাতজনকে পিটিয়ে আহত
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা এলাকায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাতজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উত্তর কদমতলা গ্রামের নগেন্দ্রনাথ বাউলিয়া, গোবিন্দ বাউলিয়া, সুভাষ বাউলিয়া, জোতিন বাউলিয়া, নিত্যানন্দ বাউলিয়া ও মমতা রানী মন্ডলসহ আরও একজন। তারা একই পরিবারের সদস্য।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, কদমতলা এলাকার ধনঞ্জয় মন্ডলের মেয়ের সঙ্গে (১৭) শ্রীপদ মন্ডলের ছেলে পল্লব মন্ডলের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা উভয়ে মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী। গোবিন্দ বাউলিয়ার ছেলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিত্যানন্দ বাউলিয়া তাদের প্রেমে বাধা দেয়। এ নিয়ে নিত্যানন্দ ও পল্লবের মধ্যে ঝগড়া এবং হাতাহাতি হয়।
পল্লব স্থানীয় যুবলীগের সমর্থক। ঝগড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পল্লব শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করে নিত্যানন্দের বাড়িতে হামলা চালান। সেই সঙ্গে নিত্যানন্দকে মারধর করলে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসেন। তখন তাদেরও মারধর করা হয়। এতে নিত্যানন্দের পরিবারের সাতজন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর কুমার মন্ডল বলেন, প্রেম নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটিকে তুলে আনতে গিয়েছিল পল্লবসহ তার লোকজন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি পল্লব মন্ডলের পক্ষে অবস্থান নেন। বাড়ির প্রতিমা ভাঙচুর ও সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেছেন তারা। এটি উচিত হয়নি তাদের।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আকরামুল ইসলাম/এএম/ওএফ