নাঈমের পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন কাদের মির্জা

আবু নাসের-মারজাহান বেগম দম্পতির চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তৃতীয় সন্তান নাঈমুর রহমান মিনহাজ। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৩৯৪০তম হয়ে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন নাঈমুর রহমান মিনহাজ। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৬৮.৫ নম্বর।

তবে অভাবের সংসারে তার মেডিকেলে পড়া হবে কি না? এ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। নাঈমুর রহমানের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এখন আর তার মেডিকেল ভর্তি নিয়ে শঙ্কা নেই।

মিনহাজের বাড়ি বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। তার বাবা আবু নাসের চা দোকানদার। দিন শেষে যা রোজগার, তা দিয়েই চলে সংসার। নাঈমুরের মা মারজাহান বেগম গৃহিণী।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নাঈমুর ও তার পরিবারের হাতে মেডিকেলে ভর্তির ২০ হাজার টাকা তুলে দেন।

নাঈমুর বলেন, ‘আমার বাবা চা দোকানদার। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় পরিবার থেকে মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা স্যার আমার মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন। ভর্তি বাবদ তিনি আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন ও আমাদের পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।’

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি নাঈমুর রহমানের মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। তাদের আর্থিক অবস্থার বিস্তারিত জেনে নিজ উদ্যোগে নাঈমের পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি।’

হাসিব আল আমিন/এমএসআর