মৃত ভোটারের স্বাক্ষর জমা, টাঙ্গাইল-৫ আসনে দুইজনের মনোনয়ন বাতিল
বাঁ থেকে খন্দকার আহসান হাবিব ও মেহেনিগার হোসেন
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিবের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় মৃত ভোটারের সাক্ষর থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। সাক্ষর জমা দেওয়া ১০ জন ভোটারের মধ্যে ৬ জনেরই স্বাক্ষরের মিল পায়নি কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্রী প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীব এবং একই আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
খন্দকার আহসান হাবীবের দাবি, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ায় তারা ভয়ে অস্বীকার করেছে।
এ ছাড়া একই আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেনের মনোনয়নপত্রও বাতিল ঘোষণা করা হয় দশজন ভোটারের স্বাক্ষর মিল না পাওয়ায়। মেহেনিগার হোসেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও খন্দকার আহসান হাবীব বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্রী প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীব মনোনয়নপত্রে নির্বাচনী আসনের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছিলেন। জমা দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ১০টি যাচাই বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ছয়জনের স্বাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তিনি একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দিয়েছেন।
অপর দিকে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন মনোনয়ন পত্রে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। জমা দেয়া ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ১০টি যাচাই বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একজনেরও স্বাক্ষর মিল পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব জানান, নির্বাচন আইনে কোথাও বলা নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের নাম দিতে হবে। তারপরও আমি পাঁচ হাজারের অধিক ভোটারের নাম জমা দিয়েছি। সেইখানে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ায় ভোটাররা ভয়ে অস্বীকার করেছে। এছাড়া মৃত ভোটারের নামটা অনিচ্ছাকৃত। যেহেতু লোক দিয়ে কাজ করিয়েছি সুতরাং এখানে একটু ভুল হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, খন্দকার আহসান হাবিব ও মেহেনিগার হোসেনের জমা দেওয়া স্বাক্ষরগুলোর মধ্যে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সেখানে ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
অভিজিৎ ঘোষ/এএএ