আ.লীগ নেতার হলফনামায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা!
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ চৌধুরী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ চৌধুরী। এ জন্য তিনি নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারদের সমর্থনসহ তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের জমা দেন। পরে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কিন্তু মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় লেখা ‘নির্বাচনী এলাকা হইতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক’। এই মর্মে শপথপূর্বক ঘোষণা করিতেছি। যেখানে অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হলফনামায় লেখা ‘নির্বাচনী এলাকা হতে প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। এই মর্মে শপথপূর্বক ঘোষণা করিতেছি।’
বিজ্ঞাপন
হলফনামার বিষয়ে কথা বলতে শামিম আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন ‘নির্বাচনী এলাকা হইতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরূপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক’ এমনটি লেখার প্রশ্নই উঠে না। আমি ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। সেখানে জাতীয় পার্টি লিখতে যাব কেন। আমি আওয়ামী লীগের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। আমি সঠিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছি পরে কীভাবে তা বদলে গেল সেটা আমি জানি না। আমাকে সরানোর জন্য এগুলো আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ষড়যন্ত্র। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
শামিম আহমদ চৌধুরী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বড় ভাই আবুল কালাম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ছাতক পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র। গত নির্বাচনে শামিম আহমদ চৌধুরী এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি।
বিজ্ঞাপন
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি এ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও শামিম আহমদ চৌধুরীর পরিবারের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে।
সোহানুর রহমান সোহান/এএএ