কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেছেন, শুক্রবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণ কাদের মির্জার বাড়িতে নয়, বাড়ির সামনে বসুরহাট-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘটনো হয়। যা কাদের মির্জার সাজানো নাটক। 

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুরের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জাকে সন্ত্রাসী, মানসিক বিকারগ্রস্ত আখ্যায়িত করে তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। 

খিজির হায়াত খান আরও বলেন, আব্দুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে আসতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন। তার এই ধৃষ্টতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

পাশাপাশি আমরা ঐক্যবদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘোষণা করছি, আমাদের নেতা কোম্পানীগঞ্জে যেকোনো সময় আসতে পারবেন। আমরা সার্বক্ষণিক উনার সঙ্গে আছি এবং থাকব। কোনো সন্ত্রাসী ও বিরোধী দলের মদদপুষ্ট ব্যক্তির হুমকি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। অবিলম্বে সন্ত্রাসী, মানসিক বিকারগ্রস্ত আব্দুল কাদের মির্জাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহামন বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সদস্য সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদুল হক কচি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।

মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।

এদিকে, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বাড়িতে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কথিত সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেল (৪২), দিদার চৌধুরী (৩০) ও মোবারক হোসেন রিয়াদকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

হাসিব আল আমিন/এসপি