জমে উঠেছে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। জোটগত সিদ্ধান্তে আসনটিতে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।

১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত মাঠে রয়েছেন জোট প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (লাঙল) ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লা নাহিদ নিগার (ঢেঁকি)। তারা দিন রাত একাকার করে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

দলীয় নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন আফরুজা বারী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও মায়ের পরিবর্তে মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটাররা বলছেন, এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই মূলত লড়াই হবে। তবে সুষ্ঠু ভোট হলে যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান তারা। তবে জনমত বিশ্লেষণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে ভোটের মাঠে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। পাশাপাশি জোটগত সিদ্ধান্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ জাপার পক্ষে কাজ করায় জাতীয় পার্টির জয় অনেকটা সহজ বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। 

জাতীয় পার্টির দূর্গ আসনটিতে ২০০১ সালে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে আবারও আসনটি দখলে নেয় জাতীয় পার্টি। এরপর ২০১৪ সালে আসনটিতে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তার মৃত্যুতে উপ-নির্বাচনে আসনটিতে জয়ী হন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও এমপি নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। 

ভোটের দিন ঘনিয়ে আসায় প্রচারণা ও গণসংযোগে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন এই দুই প্রার্থী। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দুই প্রার্থীই নিজের জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা তুলে ধরছেন। ভোটারদের কাছে টানতে কৌশল অবলম্বন করাসহ দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এই আসনটি জাতীয় পার্টির দূর্গ। তাছাড়া জোটগত সিদ্ধান্তে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আমার পক্ষে কাজ করছেন। বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে আমার সময়ে এই উপজেলায় বেশি উন্নয়ন হয়েছে। ইনশাল্লাহ আগামীতে আরও উন্নয়ন হবে। সবদিক বিবেচনায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৭ তারিখে জাতীয় পার্টিকে বিজয়ী করবে এই উপজেলার মানুষ।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা নাহিদ নিগার বলেন, ২০১৬ সালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত মামা সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের অসমাপ্ত স্বপ্ন ও কাজ সমাপ্ত করতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই আমার সঙ্গে রয়েছে। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। জয়ী হলে তিস্তার চর ও নদী ভাঙনের শিকার নারী পুরুষের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।

রিপন আকন্দ/এমএএস