পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের কথায় ঠিক থাকে, তাহলে বিএনপি নেতাদের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত। কারণ তারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটে নিজ বাসভবনে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে। তাই তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপির দাবি হলো দুইটি- একটি প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ, দ্বিতীয়টি খালেদা জিয়াকে সাজা না দেওয়া।

খালেদা জিয়াকে সাজা সরকার দেয়নি মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের স্টেপ ডাউন কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে হয় না। এটা সামরিক শাসনে সম্ভব। নেতৃত্বে অপরিপক্বতার কারণে তারা বারবার বিভিন্ন ইস্যু মিস করছে।

নির্বাচন কমিশন এখন শক্তিশালী বলেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারণা বিষয়ে কড়াকড়ি করছে। একইভাবে বিএনপির ওপর সমানভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৭ জন পর্যবেক্ষক ও অসংখ্য সাংবাদিক আসবে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভোট দেব। জনগণ যেভাবে ভোট দিবে তাতেই আমি খুশি, জনগণ ভোট না দিলে নাই। এর সার্টিফিকেট বিদেশিদের কাছ থেকে কেন নিতে হবে? আমেরিকা-ভারতের মতো পৃথিবীর অনেক দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক থাকে না।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কীভাবে তিক্ততা কমানো যায়, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসেনি। এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে পর্যবেক্ষক দল।

পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।

মাসুদ আহমদ রনি/এএএ