এবার ভোটার উপস্থিতি কম হবে বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী হলেও বগুড়া সদরের এরুলিয়ার ভোটার তিনি।   

হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।তিনি বলেন, এবার ভোটারের উপস্থিতি কম হবে। গতকাল রাতেই বগুড়া জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।

উপনির্বাচনের মতো এবার পোলিং এজেন্ট নিয়ে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান হিরো আলম। তিনি বলেন, এবার রাত থেকে সবগুলো কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টরা অবস্থান করছে। তবে সারাদিন কী হবে জানি না।

জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হিরো আলম। তিনি বলেন, গতবার ভোট ভালোই পেয়েছিলাম। ওরা (ভোটার) বলেছে তুমি তো জিততে পারোনি। আমি তাদের বলেছি এবার ভোট দিয়ে দেখেন, আর একবার সুযোগ দেন। এবার ভোট সুষ্ঠু হবে, আর ভোট সুষ্ঠু হলে আমি অবশ্যই জিতব।

তবে ঈগল মার্কার প্রার্থী টাকা দিয়ে অনেক ভোট কেনার চেষ্টা করেছেন। টাকা দেওয়ার এরকম বেশকিছু ছবিও আছে বলে অভিযোগ করেন ডাব প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলম।

ভোটদান শেষ হিরো আলম তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-৪ আসনের দিকে যান। এই আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ৬ জন ভোটের মাঠে লড়ছেন। এই আসনে এবার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন ভোটার রয়েছেন। মোট কেন্দ্র আছে ১১৪ টি।

গত বছর বগুড়ার-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি, হারান জামানত।

এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে ‘অনিয়মের অভিযোগ তুলে’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এমজেইউ