দরিদ্র মানুষ যাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারে এজন্য তাদেরকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পানির ট্যাংক। এসব পানির ট্যাংক তাদের ঘরের ছাউনির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে। তবে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার দরিদ্র মানুষের জন্য এসব পানির ট্যাংকের সংযোগ স্থাপন নিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ১নং চেঁচরীরামপুর, পাটিখালঘাটা ও আমুয়া ইউনিয়নে গভীর নলকূপ স্থাপন না হওয়ায় এখানকার জনমানুষের পানির সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে সুপেয় পানির একটি বড় উৎস হচ্ছে বৃষ্টির পানি। তাই ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ এর আওতায় কাঁঠালিয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে ২২/২৩ ও ২৩/২৪ অর্থ বছরে ২ হাজার ৭৩৬টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ট্যাংক বরাদ্দ দেওয়ার তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রতিটির ট্যাংকির ধারণ ক্ষমতা ৩ হাজার লিটার। বর্তমানে ২২/২৩ অর্থবছরের ৯১২টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর কাজ চলমান রয়েছে। এতে সুবধাভোগীদের কাছ থেকে ১৫০০ করে টাকা জমা নেওয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ উঠেছে নেওয়া হচ্ছে ২০০০, ২৫০০ এমনকি কারো থেকে ৩ হাজার টাকাও।  

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য সৈয়দ খানসহ একাধিক মেম্বর বলেন, আমরা ২০০০ করে টাকা তুলে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি। কয়েকজন নেতা আমরা যারা নাম দিয়েছি তাদেরকে ২০০০ টাকা করে অফিসে জমা দিতে বলেছে। 

এ বিষয়ে চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ বলেন, আমি ১৫০০ টাকা করেই নিয়েছি।

এ বিষয়ে ১নং চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের জিয়া ফরাজী বলেন, সংসদ সদস্যের কোটার বরাদ্দের চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের নামের তালিকা আমি দিয়েছি, ১৫০০ টাকা করে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, অফিস থেকে বাড়তি খরচ জমা দেওয়ার কথা বলেছে, তাই আমি ২০০০ টাকা করে দিতে বলেছি।

এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইফুর রহমান বলেন, যার নামে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং বরাদ্দ হয়েছে তার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা করে জমা নিচ্ছি। এর বেশি কেউ নিয়ে থাকলে তার দায়ভার আমাদের না। যার নামে বরাদ্দ আমরা তার কাছ থেকেই টাকা নেব অন্য কোন মাধ্যমে নেব না।

আরকে