কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে থানায় কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, থানা থেকে ফেরার পথে আমাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। অ্যাডিশনাল এসপি শামিম আমার গায়ে হাত তুলেছে। ওসি আমার সহকারী সাজুর গায়ে হাত দিয়েছে। তাকে মারধর করে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। তারপর আসার পথে এসপি, ওসি আমার মাকে নিয়েও গালিগালাজ করেছে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি। লাইভটি কাদের মির্জার ফেসবুকে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে।

কাদের মির্জা বলেন, আমার ৭ নেতাকর্মীকে গত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে শুনে আমি তাদের দেখতে থানায় গিয়েছিলাম। আমি যখন বিরোধী দল করেছি তখনও আমার ওপর, আমার কর্মীদের ওপর এতো নির্যাতন হয়নি। বিরোধী দলে থাকাকালীন পুলিশ প্রশাসন আমাদের সম্মান, শ্রদ্ধা করতো। 

আমি সরকারি দলের মূল সংগঠনে না থাকলেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদে আছি। আমার অনুসারীদের যেভাবে অত্যাচার করেছে থানায় সেটা ‘৭১ কেও হার মানায়। আমার যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক, আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন মিকনকে রাতে ধরে নিয়ে এমনভাবে নির্যাতন করেছে সে কথা বলতে পারছে না। মিকন বলেছে, আমাদের চালান করে দেন। 

কাদের মির্জা আরও বলেন, গত তিন মাস ধরে একতরফাভাবে আমার ওপর তাণ্ডব চলছে। আমার পরিবারের ওপর তাণ্ডব চলছে। আমার ছেলেকে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইয়ের ওপর বোমা হামলা করেছে।

আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ আমাকে দেখতে আসেনি। আমার খোঁজ খবর নিতে আসেনি। এই জন্যই আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। এই আওয়ামী লীগ এখন পথ হারা আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগ এখন অপশক্তির আওয়ামী লীগ।

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শামিম আহমেদ বলেন,  কাদের মির্জা থানায় গিয়ে সরাসরি থানার হাজতের সামনে চলে যান। আমি শুধু তাকে বলেছি, আপনি ওসির রুমে আসেন। এ ছাড়া আর কোনো কথা হয়নি এবং কারো গায়ে হাত তোলাও হয়নি।

হাসিব আল আমিন/এসপি