মহান আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম নিয়ে চাঁদপুরের কচুয়ায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও সুবিশাল ‘আল্লাহু’ স্তম্ভ। উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ-সংলগ্ন স্থানে দৃষ্টিনন্দন এ স্তম্ভটি নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। স্তম্ভটির কারুকার্য শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উন্মোচন করা হলে ‘আল্লাহু চত্বর’ হিসেবে এটি পরিচিতি পাবে।

বর্গাকার স্তম্ভটির চারপাশে আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম আরবিতে ওপর থেকে নিচে লেখা হবে। নিচে রয়েছে বর্গাকার বেদি, যা আবার দুই স্তরের গোলাকার বেদি দিয়ে পরিবেষ্টিত। কারুকার্য সম্পন্ন না হলেও অবয়ব ফুটে ওঠায় এলাকার লোকজন স্তম্ভটি দেখার জন্য ছুটে আসছে।

জানা যায়, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজীসহ (ব্যাংকার) এ মসজিদের ইমাম মো. রফিকুল ইসলাম মিয়াজীর উদ্যোগে আল্লাহু স্তম্ভের নির্মাণকাজ চলছে। স্তম্ভটি দুই ফুট বর্গাকার, যার উচ্চতা হবে ৩৮ ফুট। ৩৩ ফুটের মধ্যে লিপিবদ্ধ হবে আল্লাহর ৯৯টি নাম এবং ওপরে পাঁচ ফুটে থাকবে ‘আল্লাহু’ লেখা। স্তম্ভটি নির্মাণে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, মসজিদ কমিটির কাজকর্ম এবং চিন্তা-চেতনা অনেক উন্নত। তারা ধর্মীয় চিন্তাভাবনা থেকে এমন একটা স্তম্ভ নির্মাণ করছে। এটি আমাদের মুগ্ধ করেছে। এ ধরনের কোনো স্তম্ভ চাঁদপুরের কোথাও না থাকায় প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন একনজর দেখার জন্য আসছেন। 

এ বিষয়ে মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছরের এপ্রিল মাসে স্তম্ভটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতি থেকে স্তম্ভটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আনুমানিক দুই মাসের মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। স্তম্ভটিকে লাইটিং সিস্টেমের মধ্যে রাখা হবে।

মসজিদের ইমাম মো. রফিকুল ইসলাম মিয়াজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আল্লাহর নাম মানুষের স্মরণে আসবে। দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করবে। আমরা দেখেছি সৌদি আরবের বিভিন্ন পথে আল্লাহর নাম লেখা থাকে। এ থেকে মানুষের মনে আল্লাহর নাম স্মরণ হয়।

শরীফুল ইসলাম/এনএ