ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্যাংক কর্মচারীকে মারধর
কাজী মোশাররফ হোসাইন সাদ্দাম
নোয়াখালীর সেনবাগে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কাজী মোশাররফ হোসাইন সাদ্দাম (৩৪) নামে এক ব্যাংক কর্মচারীকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সেনবাগ বাজারের আমির আলী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে তার সহকর্মীরা তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত কাজী মোশাররফ হোসাইন সাদ্দাম মেঘনা ব্যাংক পিএলসির সেনবাগ শাখার সাপোর্ট স্টাফ ও উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইয়ারপুর গ্রামের কাজীমুদ্দিন বেপারি বাড়ির কাজী বাহাদুল্লাহ ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মেঘনা ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার জহির উদ্দিন আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাদ্দাম অফিস শেষ করে বিকেলে মোটরসাইকেলে উঠার সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাকে তার মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। তারা ফেসবুকে কেনো পোস্ট দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। পরে তার মোটরসাইকেল লাথি দিয়ে ফেলে দেন এবং তাকে মারধর করে পালিয়ে যান। এরপর আমরা সাদ্দামকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
আহতের স্ত্রী মারজান আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামীকে প্রথমে বেগমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তারপর সেখান থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় সিটি স্ক্রিনে দেখা গেছে আঘাতের বিষয়টি। হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। আমি দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
আহত কাজী মোশাররফ হোসাইন সাদ্দাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা অতর্কিতভাবে এসে আমার মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে। এ সময় তারা বলে, আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি কেন? আমি ফেসবুকে লিখেছিলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কখনো সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করতে পারে না। যদি সভাপতি পারে, তাহলে তাকেও বহিষ্কার করতে পারে সাধারণ সম্পাদক। তাই ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়েবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন আমাকে ব্যাংকের সামনেই মারধর করেছে। আমাদের ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় সব রেকর্ড আছে। আমি মানুষের সাহায্য চাইলেও কেউ ভয়ে এগিয়ে আসেনি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু শোয়েব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি ঢাকায় আছি। ফেসবুকে এই হামলার কথা জেনেছি। আমি কোনোভাবেই এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই। এটা মিথ্যাচার। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন
মেঘনা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার খলিল উল্যাহ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যাংকের সামনে ব্যাংক কর্মচারীকে এভাবে মারধর করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার চাই।
সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীর কাছে গিয়েছে। তিনি এখনো কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসিব আল আমিন/এএএ