সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় গাফফার সেখ (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াধানগড়া মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত গাফফার সয়াধানগড়া মহল্লার ভেজাল সাবান মোড় এলাকার বুদ্ধু সেখের ছেলে।

এর আগে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াধানগড়া নতুনপাড়া এলাকায় সাংবাদিক আব্দুল হামিদের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের নামে দ্রুতবিচার আইনে মামলা করা হয়েছে।
 
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত গাফফার সেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অস্ত্রধারী ছিলেন স্বীকার না করলেও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তার হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বাকি জড়িতদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াধানগড়া মাছুমপুর ঈদগাহ মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কলম সৈনিকের সম্পাদক আব্দুল হামিদের ভাগনে মো. রানা আহমেদ (২৫) ও আরেক ভাগনে ঐশ্বর্য্য সেখের (২১) কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে সয়াধানগড়া মহল্লার কিশোর গ্যাংয়ের  ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, লোহার রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিক আব্দুল হামিদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে শক্তির মহড়া দেখায়। বাড়ির লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ সময় সাংবাদিক হামিদের স্ত্রী মোছা. সাফিয়া খাতুন, বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহেলা খাতুন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহেলা বেগম তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় রাতেই সাংবাদিক আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫জনের নামে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা করেন।  

এদিকে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা করতে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা রামদা লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করতে করতে যাচ্ছে এবং হামলা চালিয়ে আবার ফিরে আসছে। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর