রাজশাহীর তানোরে পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী জিয়াউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় তালন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল হাসানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তানোর উপজেলার লালপুরের হাবিবুরের ছেলে হাকিম বাবু (৩৪), একই এলাকার সাইদুলের ছেলে মো. সুফিয়ান (৩৬), তালান্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হাসান (৪২), হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহীন (২৫) ও মৃত লুৎফরের ছেলে রাশেল (৩০)। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন।

র‌্যাব-৫ জানায়, তানোরে পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হাকিম বাবু সুফিয়ানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানির আরেকটি বিশেষ আভিযানে আবুল হাসান, শাহীন ও রাশেলকে কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আবুল হাসান মেম্বার। এর আগে থেকেই সুমি খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুবলীগ কর্মী জিয়াউল ইসলামের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে তাদের সতর্ক করেন। পরে ডিপ টিউবওয়েলের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায়। এ সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জিয়াউলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত হাকিম বাবু, সুফিয়ান, শাহীন, আবুল হাসান, রাশেল হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। 

প্রসঙ্গত, নিহত যুবলীগ নেতা জিয়াউল তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের বিলশহর এলাকার মৃত মোহর মন্ডলের ছেলে। এছাড়া তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ইউপি সদস্য হাসান আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমি (৩৫), একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩০) ও আলাউদ্দিনের ছেলে সোহাগকে (২৬) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠোনো হয়েছে। 

শাহিনুল আশিক/আরএআর