প্রথমবারের মতো লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে আইসিইউ বেড
১৮ লাখ মানুষের সেবায় তিন আইসিইউ বেড
লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর জন্য ১০০ শয্যার সদর ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে জেলা হওয়ার তিন যুগেও জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউর ব্যবস্থা ছিল না। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে প্রথবারের মতো সদর হাসপাতালে আইসিউর তিনটি বেড উদ্বোধন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ফিতা কেটে আইসিইউ বেডগুলোর উদ্বোধন করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আশফাকুর রহমান মামুন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহম্মেদ হেলাল প্রমুখ।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরকে জেলা করা হয়। এ জেলায় প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বসবাস করে। কিন্তু জেলা হওয়ার ৩৭ বছরেও চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য পাশের জেলা নোয়াখালী ও ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় রোগীদের। জেলা সদরে ১০০ শয্যা, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। তবে প্রত্যেকটি হাসপাতালে চিকিৎসকসহ যন্ত্রপাতির সংকটে চিকিৎসা ব্যাহত হয়।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলার কোনো সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ছিল না। অবশেষে করোনা মহামারির ক্রান্তিলগ্নে রোগীদের চিকিৎসার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালে তিনটি আইসিইও বেড দেওয়া হয়েছে। তবে সদর হাসপাতালে দুটি ভেন্টিলেটর রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদরে সাত, রায়পুরে এক, রামগঞ্জে এক, কমলনগরে তিন, রামগতিতে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে সদর হাসপাতালে পাঁচজন ও হোম আইসোলেশনে ২১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফ্ফার বলেন, করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে আইসিইউর তিনটি বেড স্থাপন করা হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়ানো চেষ্টা চলছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এএম