শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে কর্মবিরতি পালন করেছেন চা শ্রমিকরা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে কর্মবিরতি পালন করেছেন চা শ্রমিকরা। 

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে শতাধিক চা শ্রমিক বাগানে জড়িত হয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কালিঘাট পোস্ট অফিসের পিয়ন মন্টু তাঁতী (৫৫) মারা যান। 
 
কালিঘাট চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি অবান তাঁতী বলেন, কালিঘাট চা বাগানের বাসিন্দা পোস্ট অফিসের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী মন্টু তাঁতী বুধবার করোনায় আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বাগানের হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়। কিন্তু বাগানের হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স না দেওয়ায় তার অবস্থার অবনতি হয়। বাগানের ম্যানেজারকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর অনুরোধ করলেও রাখেননি। পরে উপায় না পেয়ে শ্রীমঙ্গলের ইউএনওকে ফোন দিলে তিনি অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। এরপর রোগীকে মৌলভীবাজার নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান। বাগানের অ্যাম্বুলেন্স দিলে হয়তো আগেই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত। 

শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা মেডিকেল ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসক নাদিরা আক্তার বলেন, এই অ্যাম্বুলেন্স করোনা রোগী নিয়ে গেলে অন্যান্য রোগীর জন্য সমস্যা হয়ে যেত। এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার ক্ষমতা নেই আমার। 

কালিঘাট চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি জিনিসপত্র থাকায় অন্য জায়গা থেকে অ্যাম্বুলেন্স এনে দিয়েছি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়নি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে মৃতের দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। করোনা রোগীর জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ যেন গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এ বিষয়ে আমি অফিসিয়ালি চিঠি পাঠাব।

ওমর ফারুক নাঈম/এএম