ফাইল ছবি

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১১৪ জন।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার ফিরোজা বেগম (৭৫) গত ১৯ এপ্রিল সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। 

একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ইচলী এলাকার আরশাদ বেপারী (৭৮) করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে মারা যান। তিনি শুক্রবার বিকেলে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যায় দীপক (৩৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি চাঁদপুর সদরের সকদি রামপুর এলাকায়। একই দিন দুপুর সাড়ে ১১টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতে রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শাখাওয়াত উল্লাহ জানান,  শনিবার আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ২৯ জন, শাহরাস্তির ১ জন, হাজীগঞ্জের ৯ জন, ফরিদগঞ্জের ৩ জন, কচুয়ার ২ জন ও হাইমচরের ১ জন। একই দিনে ৫২ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ২৫ জন, হাইমচরের ১ জন, কচুয়ার ২ জন, ফরিদগঞ্জের ৬ জন, হাজীগঞ্জের ১২ জন, শাহরাস্তির ৪ জন ও মতলব দক্ষিণের ২ জন।

নতুন আক্রান্তসহ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬৮ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৫৮৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১৩জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, শনিবার ১৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

শরীফুল ইসলাম/এইচকে