আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি ইতোমধ্যে কোম্পানীগঞ্জে শান্তির জন্য ১১টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। কিন্তু তার বিপরীতে নোয়াখালী ও ফেনীতে আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য যড়যন্ত্রের একটা নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। সেই নীল নকশা মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। 

শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে ঘণ্টাব্যাপী লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী এখন দুবাইতে অবস্থান করছেন। দুবাই যাওয়ার আগে অপরাজনীতির হোতা একরাম, নিজাম দুর্নীতিবাজ সচিব প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরসহ আমাদের পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিবে। আমি, আমার ছেলে ও আমার ছোট ভাই শাহাদাতকে তারা হত্যা করবে। 

তিনি আরও বলেন, বাদল মাদক সম্রাট মঞ্জুরের (ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে) বাসায় এখানকার সব অস্ত্রধারী কুলাঙ্গারদের নিয়ে বৈঠক করেছে। তারা বৈঠক করে কানা মঞ্জুকে দলের মুখপাত্র করেছে। সে মুখপাত্র হতে চায়নি। একরামুল চৌধুরী তাকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পর সে মুখপাত্র হওয়ার সম্মতি দিয়েছে। 

তারপর সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি, আমার ছেলে ও আমার ছোট ভাইকে হত্যা করবে। ওবায়দুল কাদেরের রাজনীতি এই নোয়াখালীতে চিরদিনের জন্য নির্বাসনে পাঠাবে। এটার মূল কারণ হচ্ছে- একরাম সাহেবের কাছে খবর এসেছে উনি আর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নেই এবং নিজাম হাজারী খবর পেয়েছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে উনি আর মনোনয়ন পাচ্ছেন না। 

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি আরও তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে সারাদেশে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা।

এরপর কাদের মির্জার সঙ্গে তার দলের বিরোধী পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত হন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতে। গত (৩১ মার্চ) নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ ছাড়াও তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দেন। 

হাসিব আল আমিন/এসপি