পাটুরিয়ায় নেই ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ
পাটুরিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ নেই
দোকানপাট ও শপিংমল খোলার খবরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চের ২১ জেলার সাধারণ মানুষ নিজ কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছেন। তবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ নেই।
রোববার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, ছোট গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও শতাধিক যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পন্টুনে নোঙর করেছে শাপলা শালুক নামে একটি ফেরি। এর কিছুক্ষণ পর আবার গাড়ি লোড দিয়ে কিছু যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফেরিটি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পাটুরিয়ার ২ নং ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। পাটুরিয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে নবীনগর জন প্রতি ৩০০ টাকা, গাবতলীতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা নিচ্ছেন চালকরা। প্রাইভেটকারের ভাড়াও একই বলে জানান যাত্রী ও চালকরা।
ঢাকামুখী যাত্রী সোহানুর রহমান জানান, ঢাকায় একটি শপিংমলে চাকরি করেন। লকডাউনের আগে মালিকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া গিয়েছিলেন। আজ থেকে দোকান ও শপিংমল খোলা, তাই করোনার ঝুঁকি নিয়েই নিজের কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকামুখী আরেক যাত্রী বুরহান মিয়া বলেন, সরকার দোকানপাট খুলে দিছে। ধানমন্ডিতে ফুটপাতে চায়ের দোকান আছে। লকডাউনে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর গিয়েছিলাম। ঢাকা না গেলে সংসার চালামু কেমনে?
প্রাইভেটকার চালক মাসুদ মিয়া বলেন, পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা করে। বাস বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। আর আমরা যাত্রী নিতে পারি পাঁচজন করে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবানহন-অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে তিনটি ফেরি এ নৌপথে চলাচল করছে।
সোহেল হোসেন/এসপি