হাইকোর্ট থেকে নেওয়া আগাম জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চুয়াডাঙ্গার নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করলে বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ সময় বিচারক একে একে জামিন আবেদন নাচক করলে আলাদত থেকে সটকে পড়েন ৫৭ জন জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহাজাহান মুকুল ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৮টি নাশকতা মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে পাওয়া জামিনের মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হবে। এ জন্য আজ বৃহস্পতিবার ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তিনজনকে জামিন দিলেও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় প্রায় ৫৭ জন নেতা-কর্মী চলে যান। তারা আমাকে জান জানিয়ে ও আলোচনা না করেই চলে চলে গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ৩১ মার্চ হাইকোর্টে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তারা আবেদন করেন জামিনের জন্য। আদালত চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান কবির, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো ইউসুফ আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো রুহুল আমিনসহ ৪৭ নেতা-কর্মীকে জামিন নাচক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ সময় জামিন নিতে আসা ৫৭ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে চলে যান। তারা ঈদের আত্মসমর্পণ করবেন বলে জেনেছি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সব কিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মৃধা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাশকতা মামলায় হাজিরা দিতে আসলে ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

আদালত থেকে ৫৭ জনের সটকে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আদালতে হাজির হননি। তাদের তো আমরা চিনি না। যে ৫০ জন হাজির হয়েছিলেন, এর মধ্যে ৪৭ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।  

আফজালুল হক/আরএআর