হঠাৎ ভিড় বেড়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে
দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার ঘোষণায় সরকার ঘোষিত লকডাউন উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। সকাল থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীর তেমন একটা চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি পার হচ্ছে যাত্রীরা। তবে লঞ্চ বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফেরিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেক যাত্রীদের জায়গা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রাইভেট কার, মাইক্রো, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ভাড়া করে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে এই ঘাট এলাকায় ভিড়ছে সাধারণ যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৫ এপ্রিল) বেলা ২টায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় লক্ষ করা যায়। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া টিকিট কাউন্টারে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের অপেক্ষমাণ থেকে টিকিট কিনতে হয়। সেখান থেকে ফেরিঘাটের র্যাম থেকে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে ফেরিতে ওঠে এসব যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফিরোজ শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দোকানপাট ও শপিংমল খোলার কারণে ফোরঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর থেকে পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বাড়ে, তখন এ রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করে।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ