কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে রোগীদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত নামিদামি ওষুধ আগুনে পোড়ানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে মসজিদের পাশের পরিত্যক্ত জায়গায় ওষুধগুলো পোড়ানো অবস্থায় দেখেন নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন মুসল্লি। ঘটনাটি জানাজানি হলে মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বরে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। নিজ চত্বরে এমন ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে কিছুুই জানেন না কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসন ভবনের ৩০ গজ দূরেই হাসপাতাল মসজিদ। এ মসজিদ সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের নামিদামি সরকারি ওষুধ পোড়ানো অবস্থায় স্তূপ আকারে পড়ে রয়েছে। 

ওই মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়েন শাকিল আহমেদ। তিনি জানান, জোহরের নামাজের সময় অজু করতে গিয়ে হঠাৎ সামনে কালো একটি স্তূপ চোখে পড়ে। কাছে গিয়ে দেখি এতে নানা ধরনের ওষুধ পোড়ানো হয়েছে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। অথচ সরকারের লাখ লাখ টাকার ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

পোড়ানো ওষুধগুলো সরকারি বলে নিশ্চিত করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, কে বা কারা সরকারি ওষুধগুলো পুড়িয়েছে তা আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সেলিম মিয়াকে প্রধান করে তিন সদেস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জুয়েল রানা/এসপি