রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিশু এখনো উদ্ধার হয়নি। বিয়ে বাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়েছে। 

রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের মানিকের চর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশু নিখোঁজ হয়। 

তারা হলো- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (৯) এবং চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে ঝিলিক খাতুন (১০)। 

তারা ঈদুল ফিতরের পরের দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় আবদুল হান্নানের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল। বিয়ের পরের দিন তারা পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান না পেয়ে বাঘা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রোববার রাত ১টা পর্যন্ত তাদের খুঁজেও পাওয়া যায়নি। 

আবদুল হান্নানের ছোট ভাই মো. পলাশ আলী বলেন, বাচ্চা দুইটা ঈদের পরের দিন আমার ভাই আবদুল হান্নানের মেয়ে হালিমা খাতুনের বিয়ে খেতে এসেছিল। এই বিয়ে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। আজকে তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কালকে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে তারা নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। 

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি লিডার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। দুইজন ডুবুরি রাত ১টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি। নদীতে স্রোত ছিল। স্রোতের বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের উদ্ধার পরিচালনা করতে হয়েছে।

চক রাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, যারা নিখোঁজ হয়েছে তারা বিয়ে খেতে এসেছিল। ঘটনার খবর জানা মাত্রই আমরা ফায়ার সার্ভিস এবং থানা পুলিশকে খবর দেই। এটি দুর্গম চর সে কারণে আসতে একটু সময় লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও এখনো খুঁজে পায়নি।

শাহিনুল আশিক/আরকে