ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মতলব উত্তর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই মিছিল ও শোডাউন করায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মানিক দর্জিকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

সোমবার মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়, মোহাম্মদ মানিক, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে চেয়ারম্যান পদে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী। গত ২১ এপ্রিল আপনি ছেংগারচর পৌরসভা, কালীপুর, বেলতলী এলাকায় অসংখ্য লোকজন নিয়ে মোটর শোভাযাত্রা ও মিছিল করেছেন যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিম্নস্বাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর (৫) অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ২২ এর অধীন প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে, জনসংযোগ এবং ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করিতে পারিবে না।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) অনুযায়ী প্রচারণা সংক্রান্ত বিধান লঙ্ঘন করার অপরাধে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা আপনার একজন মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মানিক দর্জি ঢাকা পোস্টকে বলেন, যার জনপ্রিয়তা বেশি, তার শত্রুও বেশি। আমি আমার মতো নোটিশের জবাব দেব।

রাতে নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হবে।

প্রসঙ্গত, উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। তফশিল অনুযায়ী ২২ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

আনোয়ারুল হক/এমজে