দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রার রেকর্ড। দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া নগরবাসী ও শ্রমজীবীদের তৃষ্ণা মেটাতে পানি ও স্যালাইন দিচ্ছে সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি (ইয়াস)। এতে সহযোগিতা করেছে ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ইয়াসের সদস্যরা ঝালকাঠি শহরের ফায়ার মোড়ে এই সেবা প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, ইয়াসের উপদেষ্টা ও নারীনেত্রী ইসরাত জাহান সোনালী, সমাজসেবক হাসান মাহমুদ, ইয়াসের সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন রানা, অর্থ সম্পাদক রাহাত মাহমুদ জীবন, সদস্য রনি চন্দ্র, সাকিব হাসান, রুবায়েত ইসলামসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। এরপরও জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। সড়কে বের হওয়া পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাত্রীদের তীব্র গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করছি। পাশাপাশি হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাখতে জনসচেতনতামূলক প্রচার চলছে। সকাল থেকে ফায়ার মোড় এলাকায় আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ইয়াসের উপদেষ্টা ইসরাত জাহান সোনালী বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে ঝালকাঠিবাসী অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করছি। সকাল থেকে অন্তত এক হাজার পথচারী, রিকশাচালক ও যাত্রীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের এই সেবা শ্রমজীবী সকলের জন্য উন্মুক্ত। চলমান তাপপ্রবাহ যতদিন থাকবে আমাদের এই কার্যক্রম চলমান রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ইয়াসের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন রানা বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে তৃষ্ণার্তদের জন্য পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা করেছি। সিভিল সার্জন মহোদয় জেনে আমাদের সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া উপদেষ্টা ও সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। এরকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমরা স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিনিয়ত পানি ও স্যালাইন বিতরণ করতে পারব। পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতার জন্য প্রচার অব্যাহত থাকবে।

মো. নাঈম হাসান ঈমন/এমজেইউ