ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের দিনমজুর আব্দুল জোব্বার। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারের হাল এখন তার সহধর্মিণী হাসিনা বেগমের কাঁধে। উত্তর দমদমা মাঠের একটি সরকারি খালে ৫ কাটা বোরো ধান চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু অল্প জমি হওয়ায় কোনো শ্রমিকই তার ধান কেটে দেয়নি।

অবশেষে সেই নারীর আকুতি শুনলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজের ভিপি সবিজ ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় ওই নারীর ধান কেটে দেন।

পরে পাশের দরিদ্র আরও তিন কৃষক আব্দুল মান্নান, মোস্তাফিজুর ও আরিফ হোসেনের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

নারী হাসিনা বেগম বলেন, ‘স্বামী অসুস্থ হওয়ায় সামান্য জমির ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ছালপাল ধান কেটে দেওয়ায় খুব আনন্দ লাগছে। আমি খুব খুশি।’

কৃষক আব্দুল মান্নান ও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অল্প জমির ধান কেউ কেটে দিতে চায় না। আর কাটলেও বেশি টাকা গুনতে হয়। তাই নিজেই কাটার চেষ্টা করছিলাম। খবর পেয়ে বাড়ির পাশের কলেজের ছাত্ররা আজ ধান কেটে দিচ্ছে। এটা খুবই ভালো লাগছে।’

সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম রাজিব বলেন, চলনবিলের বোরো ধান কৃষকের চাহিদা মিটিয়ে সিংগভাগই অন্য জেলার চাহিদা মেটায়। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে চলনবিলের কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ।

কলেজের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত দিনের বন্যা ও করোনায় মানুষের বিপদে-আপদে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চলনবিলের অল্প জমি হলেই শ্রমিকরা ধান কাটতে চায় না। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ।

তাপস কুমার/এমএসআর