কাঙ্গালিনী সুফিয়ার হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক

লোকশিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার ঘরে খাবার নেই, ওষুধ কেনার টাকা নেই। চরম দুর্দশায় দিন কাটছে তার। এমন পরিস্থিতিতে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। তাকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

শনিবার (১ মে) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক কাঙ্গালিনী সুফিয়ার হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের এরশাদনগর বস্তি এলাকায় থাকেন লোকশিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এ একটা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি। সেখানেই এক মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে তার বসবাস। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। তাছাড়া আগের মতো আর গান গাইতে পারেন না। আর এখন করোনার প্রাদুর্ভাবে সব কিছু বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া।

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক বলেন, বিশিষ্ট লোকশিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ এবং আর্থিক দুরবস্থায় দিনযাপন করছেন। তাকে নিয়ে কিছু দিন আগে নেত্রকোনার লোকশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দেন। যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ভাইয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। এরই প্রেক্ষিতে আল নাহিয়ান খান জয় ভাইয়ের নির্দেশে আমি কাঙ্গালিনী সুফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং উনার দুরবস্থা কথা জানতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কাঙ্গালিনী সুফিয়ার বর্তমান অবস্থা শোচনীয়। তার ঘরে খাবার নেই, নেই ওষুধ কেনার টাকা। ছাত্রলীগের সার্বিক সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবধানে তাকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার (খাদ্যসামগ্রী) ও অর্থ সহায়তা প্রদান করি।

প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বলেন, আমার বয়স হয়েছে। অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে। ওষুধ কেনার টাকাও নেই। তেমন কেউ খোঁজও নেয় না। এখানে আমি যে ঘরে থাকি সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। থাকার মতো পরিবেশ নেই। প্রতি মাসে অনেক টাকার ওষুধ লাগে। গত বছর কুষ্টিয়ার ডিসি অফিস থেকে ১০ কেজি চাল ও এক কেজি আলু পেয়েছিলাম। মাঝে লালন একাডেমি থেকেও কিছু খাদ্যসামগ্রী পেয়েছিলাম সেগুলোও শেষ। 

প্রসঙ্গত, বিখ্যাত লোকশিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া প্রায় পাঁচশ গান রচনা করেছেন। তিনি ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। তার বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে ‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই’, ‘পরাণের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ ইত্যাদি। 

 রাজু আহমেদ/আরএআর