শীতে কাঁপছে উত্তর, কাবু ছিন্নমূল মানুষ
কর্মব্যস্ত ফেরিওয়ালা
ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারিদিক। দিন-রাত টুপটাপ করে ঝরছে শিশির। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষ।
জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ সাধ্য অনুযায়ী গায়ে জড়িয়েছেন গরম কাপড়। কারও কারও গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরিধান করে বেরিয়ে পড়ছেন কাজের সন্ধানে। ঠান্ডায় কাঁপছেন শিশুসহ বৃদ্ধরা।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিপাড়া গ্রামের মোস্তফা বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় গরু-ছাগল নিয়ে সমস্যায় আছি। মাঠে কাজ করতে যাব, পারছি না। মাঠে কাজ না করলে আবার সংসার চলবে না।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদীভাঙনে বিধ্বস্ত। অনেক চরাঞ্চল রয়েছে। আজ কুয়াশাও অনেক বেশি পড়ছে। এখানকার মানুষ খুব কষ্টে আছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, শীতে শাক- সবজির তেমন ক্ষতি হয় না। তবে তাপমাত্রা এক দুই সপ্তাহ ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আলু গাছের পাতায় এক ধরনের ছত্রাক আক্রমণ করে। এতে আলুক্ষেতের ক্ষতি হয়।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের পরে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এতে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে।
এসপি