অবশেষে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার আগুন সম্পূর্ণরূপে নিভেছে। শুক্রবার (০৭ মে) নতুন করে কোথাও আগুন না লাগায় ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের যন্ত্রপাতি বনের ভেতর থেকে নিয়ে এসেছে। তবে আরও দুই-একদিন আগুন লাগা এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছে বন বিভাগ।

এর আগে গত সোমবার (০৩ মে) বেলা ১১টায় দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। তিন একর বনভূমি পুড়িয়ে মঙ্গলবার (০৪ মে) সন্ধ্যা ৬টায় শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকার আগুন নিভে যায়। ৩১ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ, সিপিজি সদস্য ও স্থানীয়দের যৌথ চেষ্টা এবং বৃষ্টির ফলে এলাকার সম্পূর্ণ আগুন নিভে গেলে অভিযান সমাপ্ত করে ফায়ার সার্ভিস। এরপর বুধবার (৫ মে) পুনরায় আগুন লাগে। প্রথমবার আগুনের পরিধি তিন একর থাকলেও স্থানীয়দের দাবি দ্বিতীয়বারের আগুনে অন্তত ১০ একর বনভূমি পুড়েছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, গত ০৩ মে সকালে দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। আমাদের তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর জন্য কাজ করে ৪ মে বিকেলে সফল হয়। ৫ মে পুনরায় আগুন লাগলে আমরা আবার আগুন নেভাতে অভিযান শুরু করি। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় আমরা কাজ শেষ করি। আজ সারাদিন বনের মধ্যে আগুন দেখা না যাওয়ায় আমরা বনের মধ্যে থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি। 

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদিন বলেন, পাঁচ দিনের মধ্যে সুন্দরবনে দুইবার লাগা আগুন নেভাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যন্ত বনের মধ্যে আর দৃশ্যমান কোনো আগুন ছিল না। শুক্রবার সারাদিনও কোনো আগুন দেখা যায়নি। কিছু জায়গায় ধোঁয়া দেখা গেছে। সেসব জায়গায় রিজার্ভে রাখা পানি দেওয়া হয়েছে। বিকেল নাগাদ আর কোথাও ধোঁয়া দেখা যায়নি। তাই আমরা ধারণা করছি আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বেলায়েতে হোসেন বলেন,  বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে আগুন নিভে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি শুক্রবার থেকে তাদের কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। 

তানজীম আহমেদ/আরএআর